নেপালের বিপক্ষে আসন্ন দুটি প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তবে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা না থাকায় সীমিত স্কোয়াড নিয়েই প্রস্তুতি চালাতে হচ্ছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য নয় ক্লাবগুলো। সেই নিয়ম মেনেই বসুন্ধরা কিংস তাদের ফুটবলার ছাড়েনি। ফলে ক্যাম্পে এখন আছেন মাত্র ১৪ জন ফুটবলার।
জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও স্বীকার করলেন প্রস্তুতির সীমাবদ্ধতার কথা। তিনি বলেন, ‘দুই দলে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে পারলে ভালো হতো। এখন আমাদের ৫-৬ জন করে খেলেই ম্যাচ প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে, এতে আদর্শ প্রস্তুতি হয় না। ’
তবে ক্লাব বনাম জাতীয় দলের প্রসঙ্গে তিনি পরিষ্কার জানালেন, ‘এখানে তো ভালো অনুশীলন হয়। ’
ক্যাম্পে নেই বিদেশে খেলা ফুটবলাররাও— লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরী, ইতালির চতুর্থ স্তরে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম এবং কানাডা প্রবাসী শমিত সোম কেউই যোগ দেননি।
তবুও ইতিবাচক থাকতে চান কাবরেরা। তার ভাষায়, ‘আমরা ক্যাম্প নিয়ে সন্তুষ্ট। হ্যাঁ, পূর্ণ স্কোয়াড পেলে ভালো হতো, তবে যেটুকু সময় ও সুযোগ পাচ্ছি, তা কাজে লাগাতে চাই। শুধু নেপাল নয়, অক্টোবরের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হংকং ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচগুলোকেও সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’
বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় না ছাড়ার বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও কাবরেরা জানালেন, ‘বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগেই বৈঠক হয়েছিল। পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করা হয়েছে। কারও সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। আমরা শুধু মাঠের প্রস্তুতিতেই মনোযোগ দিচ্ছি। ’
উল্লেখ্য, ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামবে লাল-সবুজ।
এআর/এমএইচএম