ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

ফুটবল

ডিসেম্বরে ফুটবলকে বিদায় পিরলোর

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
ডিসেম্বরে ফুটবলকে বিদায় পিরলোর ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ২২ বছরের বর্ণাঢ্য পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দ্রে পিরলো। আগামী ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস লিগে নিউইয়র্ক সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষেই বুটজোড়া ‍তুলে রাখবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্বকাপ জয়ী ইতালিয়ান আইকন।

এ বছর মাত্র ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী পিরলো। হাঁটুর ইনজুরির পর পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পেতে লড়াই করতে হচ্ছে।

সাবেক জুভেন্টাস তারকার অনুভূতি, তার আর পুরোদমে ট্রেনিং করার মতো সক্ষমতা নেই যেমনটা পছন্দ করেন। চলতি মৌসুম শেষেই অবসরে চলে যেতে চান সর্বকালের অন্যতম সেরা এ মিডফিল্ডার।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে চুক্তি শেষের পর পরিকল্পনা কি? ইতালিয়ান দৈনিক ‘গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ট’র এমন প্রশ্নে পিরলো বলেন, ‘আপনি শুধু উপলব্ধি করুণ যে সময় চলে এসেছে। প্রতিদিনই আপনার শারীরিক সমস্যা থাকবে, আপনি নিজের পছন্দ মতো ট্রেনিং করতে পারবেন না কারণ সবসময়ই কিছু না কিছু থাকবেই। আমার এই বয়সে এটা যথেষ্ট। এটা এমন নয় যে আপনি ৫০ বছর পর্যন্ত যেতে পারবেন। আমি অন্য কিছু করবো। ’

খেলোয়াড়ী জীবন শেষে সরাসরি কোচিংয়ে নাম লেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পিরলো। গত মৌসুমে ইংল্যান্ডে গিয়ে চেলসি কোচ অ্যান্তোনিও কন্তের সহকারী হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যাই হোক, এ মুহূর্তে তেমন কোনো চিন্তাভাবনা নেই তার।

এ ব্যাপারে পিরলোর ভাষ্য, ‘আমি এখনো কিছু জানি না। ডিসেম্বরে ইতালিতে ফিরবো। কিছু জিনিস আছে যা বলা হচ্ছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাকে সময় দিতে হবে। যদি আপনি প্রথম সারির টিমের কাছ থেকে প্রস্তাব পান, ফিরিয়ে দেওয়াটা কঠিন হবে। আমি আবারো বলছি, এখন আমার সেরকম অভিপ্রায় নেই। ফুটবলে ২৫ বছর থাকার পর আমি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে থাকবো। নিজেকে ফিট রাখতে গলফ ও টেনিস খেলবো। ’

শৈশবের ক্লাব ব্রেসকিয়ার হয়ে ১৯৯৫ সালে পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন পিরলো। তার আগে তিন বছর (১৯৯২-৯৫) কাটান যুব একাডেমিতে। তিন বছর পর নাম লেখান ইন্টার মিলানে। ২০০১ সালে যোগ দেন এসি মিলানে। দশ মৌসুমে জেতেন দু’টি করে সিরি আ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। ২০১১ সালে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে জড়ান। জুভিদের হয়ে আরও চারটি লিগ শিরোপা উদযাপন করেন। ২০১৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলেও শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ওই বছরই পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।

জাতীয় দল ইতালির হয়ে ১১৬টি ম্যাচ খেলেছেন পিরলো। জয় করেন ২০০৬ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরোর ফাইনালে পৌঁছান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ৮ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।