ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মার্সেলোর অভিযোগ, ইশারায় কথা বলে বেল!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
মার্সেলোর অভিযোগ, ইশারায় কথা বলে বেল! বেলের ও মার্সেলো-ছবি: সংগৃহীত

সেই ২০১৩ সালে রেকর্ড ট্রান্সফারে টটেনহ্যাম ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি দিয়েছেন গ্যারেথ বেল। কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছর স্পেনে কাটিয়েও স্প্যানিশটা রপ্ত করতে পারেননি এই ওয়েলস ফরোয়ার্ড। ফলে এখনও ইংরেজি আর অঙ্গভঙ্গিই তার মূল ভরসা!

একসময় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের তকমা গায়ে লাগিয়ে রিয়ালে পা রেখেছিলেন বেল। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর একটিতে যোগ দিয়ে নিজের খেলায় হয়তো অনেক উন্নতি হয়েছে, কিন্তু ভাষার দক্ষতা মোটেই রপ্ত করা হয়নি তার।

এতদিন এই তথ্য গোপন থাকলেও রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো স্প্যানিশ দৈনিক মার্কায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করে দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে রোনালদোর আর বেল প্রসঙ্গে কথা বলেন মার্সেলো। রোনালদোর সঙ্গে মার্সেলোর বন্ধুত্ব অনেক গভীর। পর্তুগিজ উইঙ্গার যখন রিয়ালে ছিলেন তখন মাঠে আর মাঠের বাইরে তাদের যুগল সবারই নজর কেড়েছে। ক্লাবের বহু সাফল্যের অংশীদারও এই দু’জন। দুজনের ভাষাও এক। রোনালদোকে এখনও অনেক মিস করেন মার্সেলো, ‘রোনালদোর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। এমনকি তার পরিবার ও সঙ্গিনীর সঙ্গেও। ’

‘আমি তার সঙ্গে ৯ বছর একসঙ্গে খেলেছি। (তার বিদায়ে) দুঃখ পাওয়া স্বাভাবিক। ’

রোনালদো ছাড়াও কিকো কেসিয়াকে নিয়েও কথা বলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা, ‘কিকোর বিদায়েও কষ্ট পেয়েছি। ডেসিংরুমে সে আমার পাশেই বসতো। প্রতিদিন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতাম, “কেমন আছো কিকো?” আর এখন আমার পাশে কেউ নেই। ’

এরপরই বেলকে নিয়ে মার্সেলো বলেন, ‘অন্যদিকে আমার সঙ্গে বেল আছে, কিন্তু সে স্প্যানিশ বলতে পারেনা। সে শুধুই ইংরেজিতে কথা বলে এবং আমরা ইশারায় কথা বলি। ’

মার্সেলো নিজে একজন পর্তুগিজভাষী। কিন্তু রুটিরুজির জন্য স্পেনই এখন তার মূল ঠিকানা। ফলে সেখানকার ভাষা জানাটা তার জন্য আবশ্যক। তাছাড়া ইংরেজি ভাষা ইউরোপের সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা নয়। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে হয়তো ইংরেজি দিয়ে কাজ চালানো যায়, কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলোতে তা মোটেই সম্ভব নয়। কারণ, সেখানকার অধিকাংশ দেশ নিজেদের ভাষাকেই প্রাধান্য দেয়। স্পেনও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাধারণত ফুটবল তারকারা যে দেশের ক্লাবে খেলতে যান, সেখানকার স্থানীয় ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন করেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যার বড় উদাহরণ। তার মাতৃভাষা পর্তুগিজ হলেও ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষাতেও তিনি সমান দক্ষ। এমন আরও বহু উদাহরণ আছে। নিজের প্রয়োজনেই স্থানীয় ভাষা জানাটা জরুরী। তাছাড়া সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা কিংবা নিদেনপক্ষে ভাব প্রকাশের জন্যও তো দরকার। কিন্তু ব্যতিক্রম বেল।

সম্প্রতি রিয়ালের হয়ে ১০০তম গোল করেছেন বেল। কিন্তু তা সত্ত্বেও রিয়ালে তার ভবিষ্যত এখন সুতোয় ঝুলছে। রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি দেওয়ায় অনেকে ভেবেছিল বেলই হবেন তার বিকল্প। কিন্তু ওয়েলস তারকা তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। তার ওপর আবার দলে তার প্রতিযোগী হিসেবে হাজির ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস। আছে ইনজুরির ধাক্কা। এরমধ্যে আবার রিয়ালে তার সতীর্থদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টাও খোলাসা করে দিলেন মার্সেলো। বেলের কপাল বুঝি এবার পুড়ল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।