তবে সিআর সেভেনের আরেকটি গোপন ইচ্ছেও ছিল। রোনালাদো চেয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়ে ফুটবল ছেড়ে জন্মভূমি পর্তুগালের মাদেইরাতে জেলে হিসেবে এক নির্ঝঞ্জাট জীবন কাটাতে।
৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ৩৫ বছরে পা রেখেছেন রোনালদো। কিন্তু স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি। পারবেন কি করে! রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যে এখন তিনি হয়ে ওঠেছেন জুভেন্টাসের সবচেয়ে বড় তারকা। সামনে তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তুরিনের বুড়িদের হয়ে আরেকটি সিরি’আ শিরোপা। রোনালদো তাকিয়ে আছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ের দিকে। যার কারণে জেলে হওয়ার স্বপ্নটা আরো কয়েক বছর পেছাতে হচ্ছে পর্তুগালের ফুটবল যুবরাজকে।
কেবল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ জয় ছাড়া আর প্রায় সব পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি’আ জিতেছেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। পর্তুগালকে এনে দিয়েছেন ইউরো কাপ ও নেশনস লিগের শিরোপা। ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যে জিতেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি ব্যালন ডি’অর।
অথচ ফুটবল ক্যারিয়ার শুরুর দিকে পর্তুগিজ সুপারস্টার কখনো কল্পনাও করেননি এত কিছু অর্জনের। কেবল ফুটবলটা খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ৩৫ বছরে পা দেওয়ার পর নিজের জীবন সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জেলে হওয়ার স্বপ্নের কথা জানান রোনালদো।
ক্যানেল-১১ নামে এক ক্রীড়া মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জুভ ফরোয়ার্ড বলেন, ’৩৫ বছর বয়সে? আমি ভেবেছিলাম, মাদেইরাতে আমি জেলে হতে যাব। ’
নিজের এত অর্জনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রোনালদো আরও বলেন, ‘আমি পেশাদার ফুটবলার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি, এত কিছু জিততে যাচ্ছি। ’
১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের মাদেইরার ফুনচালে জন্মগ্রহণ করেন রোনালদো। জেলে হিসেবে বিশ্বে সুনাম আছে পর্তুগিজদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭. ২০২০
ইউবি