লিওনেল মেসিকে কেনার লড়াইয়ে শুধু কথায় না, কাজেও সবার চেয়ে এগিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। এবার তার প্রমাণও মিললো।
‘ইএসপিএন’র রিপোর্ট বলছে, বার্সা অধিনায়ককে এরইমধ্যে ৫ বছরের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সিটিজেনরা। এর মধ্যে ৩ বছর ইতিহাদে এবং বাকি ২ বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে ম্যানসিটির মালিকানাধীন ক্লাব নিউইয়র্ক সিটি এফসিতে খেলার প্রস্তাব। ফলে মেসির সম্ভাব্য ঠিকানা হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটিকেই দেখা হচ্ছে। সেখানে আছেন তার সাবেক গুরু ও বার্সার সাবেক সফল কোচ পেপ গার্দিওলা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘দিয়ারিও স্পোর্ত’ দাবি করেছে, মেসির জন্য দুর্দান্ত এক প্রস্তাব সাজাচ্ছে সিটিজেনরা। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের বিনিময়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর পাশাপাশি গ্যাব্রিয়েল জেসুস, বার্নান্দো সিলভা ও এরিক গার্সিয়াকে ক্যাম্প ন্যুয়ে পাঠাতে চায় ইংলিশ জায়ান্টরা।
এরিক গার্সিয়ার দিকে অনেকদিন থেকেই নজর রাখছে বার্সা। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বার্সারই অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সিলভা ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসুস অনেক আগে থেকেই পরিচিত মুখ। তাদের দামও তাই খুব একটা কম নয়। তবে অর্থকড়ি যতই লাগুক আর দলের যত বড় তারকাই বিদায় নিক না কেন, সিটির সমর্থকদের জন্য বিশ্বসেরা ফুটবলারের আগমন নিঃসন্দেহে অনেক বড় ঘটনা হতে যাচ্ছে। আবার অনেকে এই পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন। কারণ মেসির বয়স। আর কত বছর নিজের সেরা ফর্মে থাকবেন এই ৩৩ বছর বয়সী, সেটাও বিবেচনায় নিতে বলছেন তারা।
গত মঙ্গলবার এক ব্যুরোফ্যাক্সের (প্রত্যায়িত পত্র) মাধ্যমে বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। কোনো ঝামেলায় না জড়িয়ে বিনা ট্রান্সফার ফি’তেই ক্লাব ছাড়ার অনুমতি চেয়েছেন মেসি। বর্তমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রতি মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সামনে। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এই ক্লজ কেবলমাত্র মৌসুম শেষের ২০ দিন আগে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। অর্থাৎ গত ১০ জুন শেষ হয়ে গেছে এই সুযোগ।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে মৌসুম শেষ হতে আগস্ট মাসের প্রায় শেষ পর্যন্ত লেগে যায়। নতুন মৌসুমও শুরু হয়নি। ফলে মেসি এই যুক্তি দেখিয়েই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যেতে চাইছেন। এজন্য সময়মতো বুরোফ্যাক্স পাঠিয়েছেন যেন প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়। কিন্তু বার্সা চাইছে আগের ক্লজ অনুসরণ করতে। অর্থাৎ মেসিকে যেতে হলে রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন পরিশোধ করতে হবে। তাদের যুক্তি, ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা চুক্তি এরইমধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। এই নিয়েই এখন আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
এমএইচএম