ইউরোপীয় শীর্ষ লিগগুলোর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে বেশ কয়েকদিন হলো। কিন্তু এখনও ক্লাবহীন অবস্থায় সময় কাটছে এদিনসন কাভানির।
চলতি বছরের শুরুতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার পর থেকে চুক্তিবিহীন হয়ে পড়েন কাভানি। সেই থেকে ইউরোপের অনেক বড় বড় ক্লাব তাকে নেওয়ার আগ্রহ দেখালেও নতুন চুক্তির দেখা মেলেনি। এর মধ্যে অবশ্য অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ এবং বেনফিকার সঙ্গে তার আলোচনা অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছিল।
এদিকে ‘ইএসপিএন’ এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কাভানির সঙ্গে এরইমধ্যে কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই বছরের চুক্তিতে যেতে পারেন তিনি। একই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রোববার ইংল্যান্ডে পৌঁছে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাজির হবেন কাভানি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এদিনই চুক্তি স্বাক্ষরও হয়ে যাবে।
ইংলিশ জায়ান্টদের সঙ্গে কাভানির চুক্তির মেয়াদ যদিও ২ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তার চুক্তিতে একটি ক্লজ থাকবে যা তাকে ২০২০/২১ মৌসুম শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ার সুযোগ করে দেবে।
এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে ইউনাইটেডের প্রথম লক্ষ্য একজন খাঁটি স্ট্রাইকার কেনা। ব্রুনো ফার্নান্দেস এবং পল পগবাকে নিয়ে ওলে গানার সোলশারের দলের মিডফিল্ড বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। অ্যান্থনি মার্শাল, মার্কাস রাশফোর্ড এবং ম্যাসন গ্রিনউডকে নিয়ে গঠিত আক্রমণভাগও বেশ দুর্দান্ত। কিন্তু ২০১৯ সালে রোমেলু লুকাকু ইন্টার মিলানে যাওয়ার পর দলটিতে একজন সত্যিকারের স্ট্রাইকার বা সেন্টার ফরোয়ার্ডের জায়গাটা খালিই পড়ে আছে।
পুরো ক্যারিয়ারে গোল করায় দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কাভানি। ইতালি এবং ফ্রান্সে তার সাফল্য অনেক। পালের্মোর হয়ে ক্যারিয়ারের শুরু দিকে ১১৭ ম্যাচে ৩৭ গোল করে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এরপর নাপোলিতে যোগ দিয়ে ১৩৮ ম্যাচে করেন ১০৪ গোল। আর সর্বশেষ ঠিকানা পিএসজির হয়ে ৩০১ ম্যাচে করেন ২০০ গোল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এমএইচএম