মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচারারের পর বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। অবশেষে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।
গত সপ্তাহে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে ম্যারডোনার। সফল অস্ত্রোপচার শেষে গত কিছুদিন হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'সিএনএন' এমনটাই জানিয়েছে।
অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোলোদো লুক বলেছিলেন, ‘ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে জমাট রক্ত সফলভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার এই অস্ত্রোপচারে কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি জেগেছেন। সবকিছু ভালো আছে। '
হাসপাতালে ম্যারাডোনার চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে এতদিন ছিলেন তিনি। বাড়িতেও তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই থাকবেন।
এর আগে গত সোমবার (০২ নভেম্বর) নিজ দেশে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের মহানায়ককে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য ইপেন্সা সানাতোরিয়াম হাসপাতাল থেকে আরেকটি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়।
অনেকেই ধারণা করছেন, ম্যারাডোনা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে এ ব্যাপারে তার চিকিৎসক আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, এমন কোনো সংক্রমণ তার শরীরে নেই। তবে তিনি রক্তস্বল্পতা এবং পানিশূন্য হয়ে পড়েছিলেন।
তার চিকিৎসক জানান, ম্যারাডোনার শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়েছিল কারণ তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। তিনি বারবার ঘামছিলেন এবং মাঝে মাঝে রেগেও যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন মাদক গ্রহণের প্রভাবে এমনটা হয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক লুক।
ম্যারাডোনার মস্তিষ্কের এই সমস্যার নাম 'সাবডিউরাল হেমাটোমা'। মার্কিন 'ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিসিন'-এর মতে, মস্তিষ্কের ইনজুরিগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী।
১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার শহর লা প্লাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই শহরে তিনি স্থানীয় প্রিমেরা ডিভিশনের ক্লাব জিমনাশিয়া দে লা প্লাতার কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
অসুস্থ হওয়ার তিন দিন আগে ৩০ অক্টোবর নিজের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করেন ম্যারাডোনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এমএইচএম