নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মাঠে নামবে বাংলাদেশ। করোনার দীর্ঘ বিরতির পর এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ার দল।
সময়ের অভাবে নেপাল ম্যাচের আগে পুরোদমে প্রস্তুতি নিতে পারেনি জেমি ডে'র শিষ্যরা। তবে নেপালের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নয় বরং আগামী ডিসেম্বের মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি নিতেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন দলের প্রধান কোচ জেমি ডে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জেমি ডে। এসময় তিনি আরো জানান, কাতার ম্যাচের কথা চিন্তা করে নেপালের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক নয় কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে চায় তার দল।
জেমি ডে বলেন, 'কাতার ম্যাচের জন্য আমাদেরকে ২৩ বা ২৫ জন খেলোয়াড় প্রস্তুত করতে হবে। এখন আমরা দুটি ম্যাচ খেলব এবং কিছু খেলোয়াড় খেলার সময় পাবে। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমাদের আরও দুটি ম্যাচ দরকার। তাহলে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি ম্যাচ হবে। '
তিনি আরও বলেন, 'নেপাল ম্যাচে আমরা আক্রমণাত্মক ছক সাজাব না। কেননা আমাদের কাতার ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ৪-৪-২ বা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পারি। কৌশল সাজাব কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি সামনে রেখে। আমরা জিততে চাই, কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তিত নই। '
দীর্ঘদিন পর মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল, তাই ম্যাচের ফলাফলের কথা চিন্তা করছেন জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ। তাই তো শিষ্যদের পরখ করে দেখতেই মূল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে ছাড়াই মাঠে নামবে তার দল।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই জিততে চাই, কিন্তু আমার মনোযোগ শুধু জয়ের দিকে (নেপালের বিপক্ষে) নয়। খুশি হব যদি আমরা চারটি ম্যাচ খেলতে পারি এবং কাতারের বিপক্ষে চমৎকার একটা ম্যাচ খেলতে পারি। সামনের ছয় সপ্তাহে এ দিকেই আমাদের দৃষ্টি। '
জেমি ডে অবশ্য নেপালকেও দুর্বল প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন না। তাই তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটাও সহজ হবে না বলেই মত তার। তিনি বলেন, 'অবশ্যই নেপাল খুবই ভালো দল। তাদের কিছু খুবই ভালো এবং আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আছে। তাদেরকে হারানো কঠিন হবে। কিন্তু আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ফিটনেসের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। খেলা, জয় পাওয়া এবং ফুটবলকে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরানোর জন্যও আমরা মুখিয়ে আছি। '
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম