একসময় একই লিগের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের হয়ে খেলেছেন নেইমার ও সার্জিও রামোস। মাঠে দুজন ছিলেন একে অন্যের প্রতিপক্ষ।
সার্জিও রামোসের রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। এবার সেই গুঞ্জনের পালে নতুন হাওয়া লাগালেন নেইমার জুনিয়র। রিয়ালের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার যদি পিএসজিতে পাড়ি জমান, তাহলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন। এমনটাই দাবি করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'দিয়ারিও স্পোর্ত'।
রামোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে রিয়াল। এর মধ্যেই লস ব্ল্যাঙ্কোসদের অধিনায়কের সঙ্গে পিএসজির নাম জড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মৌসুম শেষেই স্পেনের রাজধানী থেকে প্যারিসে পাড়ি জমাবেন তিনি। এদিকে 'দিয়ারিও স্পোর্ত'র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক ফোনালাপে রামোসকে পিএসজিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নেইমারও।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, নেইমার নাকি রামোসকে বলেছেন, 'সার্জিও, তুমি যদি পিএসজিতে নাম লেখাও, আমি পরেরদিনই চুক্তি নবায়ন করব। আমার পড়ে, কিলিয়ান এমবাপ্পেও নবায়ন করবে। তুমি আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে আমরা কমপক্ষে দুটি ইউরোপিয়ান কাপ (আসলে চ্যাম্পিয়নস লিগ) জিতব। '
ক্লাব ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন নেইমার। ক্যাম্প ন্যুয়ে মেসি ও লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর আক্রমণভাগ, যা 'এমএসএন' নামে পরিচিত ছিল। ২০১৩ সালে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে বার্সায় যোগ দিয়ে তিনি ৩টি কোপা দেল রে, একটি স্প্যানিশ সুপার কাজ, একটি ক্লাব বিশ্বকাপ এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বাদ পেয়েছেন। এরপর ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় ফ্রান্সে পাড়ি জমান তিনি। নেইমারের ফের বার্সায় ফেরার গুঞ্জন শোনা গেছে গত মৌসুমের আগে। এমনকি আগ্রহীদের তালিকায় ছিল রিয়াল মাদ্রিদের নামও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থেকে গেছেন তিনি। তার স্পেনে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে।
মূলত রিয়ালের সঙ্গে রামোসের চুক্তি নবায়নে জটিলতা দেখা দেওয়ার কারণেই আলোচনায় পিএসজির নাম এসেছে। রিয়াল চায় বয়স বিবেচনায় এক মৌসুমের জন্য রামোসকে রেখে দিতে। কিন্তু স্প্যানিশ অধিনায়ক চান দুই বছরের চুক্তি।
রিয়াল ও স্পেনের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রামোস। ক্লাব ও দেশের জার্সিতে তিনি ৫টি লা লিগা, ২টি কোপা দেল রে, ৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৩টি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, ৪টি ক্লাব বিশ্বকাপ, একটি অনূর্ধ্ব-১৯ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, ২টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১০ বিশ্বকাপ জিতেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এমএইচএম