ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

মেসির বিদায়ে সতীর্থদের আবেগঘন বার্তা

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
মেসির বিদায়ে সতীর্থদের আবেগঘন বার্তা

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটালেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। লাল-নীলের ডোরাকাটা এ জার্সিতে আর দেখা যাবে না তার পায়ের যাদু।

স্প্যানিশ ক্লাবটির অর্থনৈতিক সমস্যা গত কয়েক মৌসুম ধরেই, কিন্তু কে জানতো হুট করেই এটি এতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। যে কারণে ছাড়তে হবে ক্লাব ইতিহাসের সেরা তারকাকে।

সবকিছুর ইতি টেনে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ছাড়তেই হলো মেসিকে। কিন্তু তার এ বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারছে না কেউই। সমর্থক থেকে শুরু করে ক্লাব সতীর্থরাও তার বিদায়ে হতাশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নিজেদের এ হতাশা ব্যক্ত করেন মেসির সাবেক সতীর্থরা।

আর্জেন্টাইন এ তারকার প্রথম বিদায়ী বার্তা আসে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেতসের থেকে। ২০০৮ সালে অভিষেকের পর থেকেই পেপ গার্দিওলার অধীনে থাকা বার্সায় মেসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন বুসকেতস। দু’জন মিলে জিতেছেন তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাও।

ইনস্টাগ্রামে মেসিকে বিদায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমাকে সঙ্গ দেয়া এবং সব কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। খুব ছোট থাকতে তুমি এ ক্লাবে এসেছিলে। আর ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হয়ে ক্লাব থেকে বিদায় নিচ্ছ। এ ক্লাবকে উচুঁতে পৌঁছাতে তুমি সাহায্য করেছ। সমসময় বলব, তোমার সঙ্গে একসাথে খেলেছি এবং অনেক মুহূর্ত তোমার সাথে ভাগাভাগি করেছি। তোমাকে খুব মিস করব। ’

বার্সেলোনায় কিশোর বয়সেই অভিষেক হয় তরুণ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতির। মেসির বিদায় ঘিরে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকেও। ইনস্টাগ্রামে তিনি জানান, ‘লা মাসিয়াতে যতগুলো ফুটবলার খেলতে আসে সবাই তোমার সাথে খেলার স্বপ্ন দেখে। আর আমি সে সুযোগ পেয়েছি। গত দু’বছর তুমি আমাকে যা শিখিয়েছ এবং স্নেহ করেছ তার জন্য ধন্যবাদ। তোমার জন্য আমি আর পরিবার আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ। ’

লিভারপুল থেকে রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি তে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিল ফিলিপ কৌতিনহো। যদিও পারফরম্যান্সের ঘাটতিতে বেশিরভাগ ম্যাচ থেকেই দূরে ছিলেন এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু মেসির জন্য ভালোবাসার কমতি ছিল না তারও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার খারাপ সময়গুলোতে তুমি যেভাবে আমার ও আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলে সেজন্য কৃতজ্ঞ। সৃষ্টিকর্তা তোমার সহায় হোন। তুমি ও তোমার পরিবারের সফলতা কামনা করি। ’

বেশি দিন হয়নি বার্সেলোর মূল দলে অভিষেক হয়েছে রিকি পুজের। লা মাসিয়ে থেকে উঠে আসা এ তরুণ মিডফিল্ডার মেসির বিদায়ে ইনস্টাগ্রামে বলেন, ‘ফুটবলে আসক্ত যে কেউ চাইবে তোমার সঙ্গে খেলা, আর আমি তা পূরণ করতে পেরেছি। বিশ্বের সেরা ফুটবলারের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে পেরেছি। শেষ দু’বছরের মধ্যে তোমার সঙ্গে খেলা, থাকা, প্রতিযোগিতা সবকিছু ছিল আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। ’

মেসির খুব ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে ছিলেন একজন। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে একসঙ্গে খেলে আসা এ সতীর্থকে হারাতে নারাজ এ স্প্যানিশ ফুলব্যাক। তবে বাস্তবতা মেনে নিয়ে পিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘বার্সেলোনা শহর কিংবা ক্যাম্প ন্যু বা আমরা কোনো কিছুই আর আগের মতো থাকবে না। ২০ বছরেরও বেশি সময় পরে তুমি বার্সার জার্সি আর পরবে না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা খুব কঠিন। ’

‘২০০০ সালে আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল, ১৩ বছর বয়সী আমাদের সামনে দুর্দান্ত একটি ক্যারিয়ার অপেক্ষা করিছল। আমরা যদি একসাথে পথচলা না থামিও আরো এগিয়ে যেতাম তাহলে এটি আরো অনেক ভালো হত। এখন তুমি হয়তো চলে যাচ্ছ, কিন্তু আমি জানি একদিন তুমি আবার ফিরে আসবে। ’

এছাড়া লুইস সুয়ারেজ, জাভি, কার্লোস পুয়োলসহ অনেক সাবেক ক্লাব সতীর্থও মেসির বিদায়ে হতাশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।