৩ গোল দিয়েও ঘরের মাঠে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিওনকে হারাতে পারেনি লিভারপুল। উল্টো আরও ৩টি গোল হজম করে ম্যাচটিতে গুরুত্বপূর্ণ ২টি পয়েন্ট হারালো অল রেডরা।
অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করেন ব্রাইটনের লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেন রবের্তো ফিরমিনো, অন্যটি আত্মঘাতী। লিগে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারাল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগে এভারটনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, আন্তর্জাতিক বিরতি- সব মিলিয়ে ২৭ দিন পর লিগ ম্যাচ খেলতে নামা লিভারপুলকে শুরুতে কোণঠাসা করে রাখে ব্রাইটন।
চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। নিজেদের ডি-বক্সে ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড হেডে ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। বক্সের বাইরে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন জর্ডান হেন্ডারসন। ড্যানি ওয়েলবেকের পাস বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ট্রোসার্ড। অষ্টাদশ মিনিটে সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে আবারও বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান ট্রোসার্ড।
৩২ ব্যবধান কমান ফিরমিনো। সালাহর পাস ধরে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে বদলায় সিদ্ধান্ত। ৫৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা লুইস দিয়াস মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন ফিরমিনোকে। একজনের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
৬৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের কর্নার পাঞ্চ করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। কিন্তু বল তাদেরই ডিফেন্ডার অ্যাডাম ওয়েবস্টারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে লিভারপুলের সমর্থকদের আরেকবার স্তব্ধ করে দেন ট্রোসার্ড। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাসে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেলজিয়ান উইঙ্গার।
২০০৯ সালে আন্দ্রে আরশাভিনের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেন ট্রোসার্ড। ১৩ বছর আগের প্রিমিয়ার লিগের ওই ৪-৪ ড্র ম্যাচে আর্সেনালের হয়ে সবগুলো গোলই করেছিলেন রাশিয়ান উইঙ্গার আরশাভিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২২
এআর