ফুটবল বিশ্বকাপের এবারের আসরের আয়োজক দেশ হওয়ায় কাতারের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। বিশেষ করে দেশটিতে সমকামীদের নিষিদ্ধ করাসহ অ্যালকোহোল নিষেধাজ্ঞার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
মঙ্গলবার কাতারের দোহায় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যখন থেকে আমরা বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি, তখন থেকেই কাতার সবার লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম আগে কোনো আয়োজক দেশের সঙ্গে হয়নি। ’
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, কাতারের নিরাপত্তাবাহিনী একরকম জোর করে সমকামীদের গ্রেপ্তার করছে। এছাড়া স্টেডিয়াম বানানোর সময় কর্মীদের ঠিকঠাক সম্মানি দেয়নি। এমনকি অতিরিক্ত চাপের কারণে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই মারা গেছে। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এই বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেন, ‘এসব ব্যাপারগুলো আমরা অনেক সহজভাবে সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া সমালোচনাগুলো ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এগুলো আমাদের উন্নতিতে (বিশ্বকাপের জন্য) অনেক বেশি অবদান রেখেছে। ’
এত সমালোচনার ভিড়েও কাতারের প্রশংসা করতে ভুলেননি খোদ ফিফা সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনোও। কয়েকদিন আগে তিনি বলেন, আরবের দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার, যেটি সব আসরকে পেছলে ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
আরইউ