ঈশ্বরদী: মাঠের লড়াইয়ের মতো সমর্থনের দিক থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকরা। দুই দলের পাড়ভক্তরা একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেন না।
এসব অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করতে যাচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের সাঁড়াগোপালপুরের স্থানীয়রা।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেখানের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকরা সম্প্রীতির এবং ঐক্যের কাতারে মিলিত হতে প্রস্তুত।
সেজন্য একসঙ্গে এক প্যান্ডেলের তলায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপ খেলা দেখবেন তারা।
শুধু খেলা দেখাই নয়; উদ্বোধনের দিন থেকে প্রতিদিন এক হাজার দর্শককে বিনামূল্যে খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেছেন তারা।
খেলা দেখার এ আয়োজন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রশংসা পাচ্ছে সবখানে। স্থানীয় সূর্য সংঘ ক্লাবের সামনে এই আয়োজন করেছে স্থানীয় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দলের সমর্থকরা।
আয়োজক কমিটিতে রয়েছেন, ঈশ্বরদী সূর্য সংঘের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তানজিরুল আলম মিটো, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, তৌফিক আলম সোহেল, স্থানীয় যুবনেতা ইমতিয়াজ চৌধুরী মিলন,শাকিল আহমেদ, হাজী জাহাঙ্গীর, উজ্জল খন্দকার, শাহীন খন্দকার প্রমুখ।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সেলিম সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাঁড়াগোপালপুরবাসী ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করতে চাই। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা আমাদের গ্রামে যেন না ঘটে এবং আমাদের গ্রামের সবাই যে যে দলের সমর্থকই হোক না কেন? এটা কেবলই একটা খেলা। এটা মনে করে উচ্ছ্বাসে মিলিত হওয়ার প্রয়াস।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলের সমর্থকরা যৌথভাবে একসাথে বসে খেলা দেখার আয়োজন করেছি। সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা শুরু হলে দু দলে বিভক্ত হয়ে নানা বিতর্ক ও ছোট খাটো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবার আমরা এসব থেকে দূরে থাকতে চাই।
ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুরের সব শ্রেণি পেশার মানুষ এবং দুই দলের সমর্থকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যতিক্রমী এ ধরনের আয়োজন করেছে। এভাবে সম্প্রীতির ধারা বজায় থাকলে মানুষ আনন্দ নিয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবে।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুর গ্রামে ইতোমধ্যে সব কার্যক্রমই শেষ। বড় পর্দায় বিশ্বকাপের সব খেলা দেখার জন্য বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলের সামনে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দলের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। খিচুড়ির রান্নার জন্য বাবুর্চি, ডেকোরেটর ও স্বেচ্ছাসেবক সবই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আয়োজন সম্পন্ন করতে কমিটির বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এসএএইচ