বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে বানানো অত্যাধুনিক সব স্টেডিয়াম। সাজানো-গোছানো ছিমছাম সমুদ্র সৈকতে বিশ্বের নানা প্রান্তের লাখো ফুটবল পর্যটকদের ভিড়।
সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট ও ধনী দেশ কাতারের জন্য অবিশ্বাস্য ও ঐতিহাসিক সময় অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু আসল জায়গায় তথা মাঠে তাদের মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হলো। পুরো বিশ্বকে চমকে দেওয়া এই আয়োজনের বিপরীতে মাঠের খেলায় 'শূন্য' পেয়েছে তারা। কাতারের জাতীয় দল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। শুধু কি তাই, ইতিহাসের প্রথম আয়োজক দেশ হিসেবে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হেরে লজ্জার ইতিহাস গড়েছে তারা।
ফুটবল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় আয়োজক দেশ হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল কাতার। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতলে শেষ ষোলোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতো তাদের। কিন্তু কাতারের তেমন কোনো সুযোগই ছিল না। কারণ প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
এবার ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরে আসর শুরু করেছিল স্বাগতিক কাতার। এরপর সেনেগালের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বে তাদের তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হয় শুধুই নিয়মরক্ষার উপলক্ষ। আর আজ নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-০ গোলে হেরে শূন্য হাতেই শেষ হলো কাতারের বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে কাতার। এর বেশিরভাগ খরচ হয়েছে বিশ্বকাপের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণের পেছনে। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো দল গড়তে পারেনি তারা। যদিও দল সাজানোর পেছনে প্রায় এক যুগ ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে তারা। স্বাগতিক হওয়ায় মাঠে বাকিদের চেয়ে সমর্থনও বেশিই পেয়েছে তারা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমএইচএম