ঢাকা: ক্যানসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নয়া অস্ত্র ইম্মিউসিন ভ্যাকসিন (টিকা) প্রথমবারের মত মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল টেস্টের সাফল্যের পর এখন এর আরও বিস্তৃত পরীক্ষা করতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। টিকাটির উন্নয়নে যুক্ত ঔষধ কোম্পানি সূত্রে সম্প্রতি
জানানো হয়েছে, এর ২/৩ টি ডোজ ক্যানসার আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে।
এই টিকা ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এটা প্রয়োগের পর থেকে তাদের সবারই ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। সাতজন রোগী যাদের ওপর ওই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩জনই এখন রোগমুক্ত বলে জানা গেছে।
এই টিকা ক্যানসার আক্রান্তদের শরীরকে আক্রান্ত কোষ ধ্বংসে সক্ষম করে তুলবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভ্যাকসিন টিউমারের সেলগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে বিনাশে সক্ষম হবে।
লন্ডন থেকে সানডে টেলিগ্রাফ জানায়, ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় ও ঔষধ কোম্পানি ভ্যাক্সিল বায়োথেরাপিউটিক্স যৌথভাবে এই টিকার উন্নয়ন করছে। এই টিকা ক্যান্সারের সেসব অণু ধ্বংসে ভূমিকা রাখবে যেগুলোর উপস্থিতি শতকরা ৯০ ভাগ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই টিকার পূর্ণ বিকাশের পর এর মাধ্যমে অন্ত্র, অগ্ন্যাশয়, মূত্রথলি ও স্তন ক্যানসারের মত তুলনামূলক ছোট ধরনের ক্যানসার সারানো আরো সহজ হবে।
স্তন ক্যানসার নিরাময়ে বর্তমানে বহুল প্রচলিত ‘ওয়ান্ডার ড্রাগ’ হারসেপিন (Herceptin) এর চেয়ে এই টিকা অধিক কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই ভ্যাকসিন প্রচলিত অনেক ঔষধের মত ক্যান্সার সেলকে আক্রমণ করে ধ্বংসের চেষ্টা না করে ক্যানসার টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলবে।
তবে এই ভ্যাকসিনের জন্য আরো কয়েকটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের দিকে ইম্মিউসিন (ImMucin ) নামের এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর