বরিশাল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনেক খরচ হয়েছে। ফ্রিতে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়ামে চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিরোধী দলের উদ্দেশে জাহিদ মালেক বলেন, তারা মেট্রোরেল দেখেন না, রূপপুর পাওয়ার প্রজেক্ট, হাসপাতালের উন্নয়ন, করোনা নিয়ন্ত্রন, ভ্যাক্সিনেশন দেখেন না। কি যে দেখেন আমরা জানি না। হ্যা, আগুন জ্বললে দেখে, কারণ ওনারা তো আগুন জ্বালিয়েছে। পুড়িয়ে মেরেছে সাড়ে ৩ হাজার লোক-আমরা তো সেটা বলি নাই। আওয়াজ শুনলে ওনারা শুনতে পায় কারণ ওনারা যে গ্রেনেড হামলা করেছে শেখ হাসিনার ওপরে। কাল পরলাম চোখে তো ছানি পরছে দেখতে পায় না উন্নয়ন। আমাদের চক্ষু ইনস্টিটিউটে ছানির অপারেশন করে নিলে শেখ হাসিনার সব উন্নয়ন দেখতে পাবে। তাছাড়া পাবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমি কাউকে কোনোরূপ দোষারোপ করব না। যারা যে জায়গার প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেব আমরা। যদি কাজ না করতে পারেন কাজ ছেড়ে দেবেন। যারা পারে তারা কাজ করবে কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ একটা নোংরা হাসপাতালে যাবে চিকিৎসা পাবে না। এ ধরনের সিচ্যুয়েশন আমরা আর গ্রহণ করতে রাজি নই।
এ সময় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটি বিকল বলে জানানো হয় মন্ত্রীকে।
তিনি বলেন, এমআরআই মেশিনটি যদি আর ঠিক করা না যায় তাহলে পরবর্তী বাজেটে একটি এমআরআই মেশিন দেওয়া হবে। এছাড়া বরিশালসহ প্রত্যেকটি পুরোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য দুটি হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক হোস্টেলে ৫-৭ শত ছেলে মেয়ে থাকতে পারবে। এখন থেকে ছেলেদের আর মেয়েদের হোস্টেল হবে সমান। কারণ, মেয়েদের থেকে ছেলেরা এমবিবিএস পরীক্ষায় অনেকে পিছিয়ে গেছে। এবারে ভর্তি হয়েছে ৭০ শতাংশ মেয়ে আর ৩০ শতাংশ ছেলে। ডাক্তার নিয়োগেও ৭০ শতাংশ মেয়ে আর ৩০ শতাংশ ছেলে কনফার্ম হয়েছে। কাজেই স্লোগান কম দিয়ে ছেলেদের লেখাপড়ায় মন দিতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউজে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরিশাল বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
এসব অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ