ঢাকা : সকাল সাড়ে ৯টায় মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত রকিবকে আনা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। হরতাল ঠেলে অনেক কষ্টে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার সঙ্গী আব্দুল কাদের।
এরই মধ্যে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আব্দুল কাদের জানান দুর্ঘটনার পর পরই হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য কোনো সিএনজি বা ট্যাক্সি ক্যাব পাইনি। এ কারণে প্রচুর সময় লেগেছে। পা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার গায়ের জামা দিয়েই সেই জায়গাগুলো চেপে ধরে মেডিক্যালে আনা হয়।
হরতালে আসতে সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনা কোনো হরতাল মানে না। শুধুমাত্র যথা সময়ে যানবাহন না পাওয়ার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় আহত রোগীর সংখ্যা অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় কম নয় বলে জানান গার্ড মোরশেদ। দেখা যায় প্রায় প্রতি ১০ মিনিটেই এক থেকে দুইজন দুর্ঘটনার শিকার রোগী আসছেন জরুরি বিভাগে।
মিরপুরে একটি বাসার গৃহপরিচারিকা মেঘনার শরীরে গরম পানি পড়ে ঝলসে যায়। প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার ডাক্তাররা। সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনা হলেও ঢাকা মেডিক্যালে পৌঁছাতে বেলা ১১টা পার হয়ে যায়।
হাসপাতালে নিয়ে আসা গৃহকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান সকালে মিরপুর থেকে মেডিক্যালে আসার জন্য কোনো যানবাহন পাচ্ছিলাম না। পরে রিকশায় করে শ্যামলী পর্যন্ত আসি। সেখান থেকে তিনশো টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে মেডিক্যালে এসেছি।
এদিকে হরতালের কারণে রিকশা সিএনজিসহ সব যানবাহনেই বেশি ভাড়া আদায় করছে চালকরা। জরুরি বিভাগে আহত রোগিদের আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ হরতালের কারণে মেডিক্যালে আসতে দেরি হওয়ায় রোগির জন্য ঝুঁকি বাড়ছে।
কর্তব্যরত ডাক্তার আনোয়ার হোসেন জানান , দেরিতে রোগী আনার কারণে রক্তক্ষরণ বেশি হয়। যথা সময়ে আনতে পারলে যা অনেক কম হয় ও ঝুঁকিও কম থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১২
এমএন/ইএস/সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর