রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাটে মজনু মিয়া নামে ভুয়া এক চিকিৎসককে আটক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাটে অভিযান চালিয়ে ওই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কায়দায় চিকিৎসা দিয়ে আসছে মজনু মিয়া। উন্নত চিকিৎসার নামে গ্রামের গরিব ও অসহায় রোগীদের নিম্নমানের চিকিৎসা দিতেন তিনি। ওষুধে বিফল হলে করতেন ঝাড়-ফুঁক, কবিরাজি।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় অভিযানে চালায় মজনুর চেম্বারে। সে সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপস্থিতি টের পেয়ে মজনু তার চেম্বার থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে মজনুকে না পাওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির ও সংরক্ষণ করে রাখার অপরাধে তার ফার্মেসি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মনজু ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে সমস্ত অপরাধ স্বীকার করায় তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আগামীতে এমন ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কিন্তু পুনরায় চেম্বার খুলে আবারও তার ভুয়া কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা বিষয়ক ডিগ্রি ছাড়াই জনসাধারণকে ভুয়া চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় মজনুকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মিঠাপুকুর উপজেলার সরকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা বিষয়ক কোনো ডিগ্রি না থাকায় মজনুকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুলতামিস বিল্লাহ্, সিভিল সার্জন অফিস ড. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর মাহবুব রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসআরএস