প্রাচীন শাস্ত্র এবং বিজ্ঞানে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সব সময়েই ভোরে ঘুম থেকে ওঠার কথা বলা হয়েছে। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুয়ায়ী, খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার ফলে সারা দিনের ছন্দ সহজেই তৈরি করা যায়।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত। ডিজিটাল পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো রেটিনা এবং দেহে মেলাটোনিন ক্ষরণের তারতম্য ঘটায়, তার ফলে মস্তিষ্ক সকালের সময়টিকে দুপুর ভাবে এবং সেই মতো চিন্তা করতে শুরু করে। তার ফলে উদ্বেগ, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পায়, যা দিনের শুরুর ছন্দপতন ঘটায়।
* সকালে উঠে খালি পেটে অনেকেরই কফি পানের অভ্যাস রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। তবে কফির মধ্যে উপস্থিত ক্যাফিন তাতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার ফলে অনেক সময়েই এনার্জির মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই ঘুম থেকে ওঠার কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর কফি পান করা উচিত।
* রাতে ঘুমোনার পর শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। চিকিৎসকদের মতে, সকালে ঘুম ভাঙার পর মস্তিষ্ক এবং কিডনির সকলের আগে পানির প্রয়োজন হয়। কারণ, মস্তিষ্কের নির্দেশে পানির সাহায্যে দেহ থেকে দূষিত পদার্থগুলো বার করে। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি ক্ষণ পানি পান না করলে মাথাব্যথা, মুড সুইং এবং চিন্তার ধারা ব্যাহত হতে পারে। ঘুম ভাঙার পর তাই অন্তত এক গ্লাস পানি পান করা উচিত।
এএটি