ঢাকা: যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেতে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেতে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যেসব কারণে যক্ষ্মা রোগ হয় এবং চিকিৎসায় যে যক্ষ্মা ভালো হয় সেসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেকেই ভূমিকা রাখতে হবে। নিজে ও নিজের পরিবারের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি) এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িংয়ের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. হাবিবে মিল্লাত ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে যক্ষা মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত বলেন, সরকার বিনামূল্যে যক্ষ্মা নির্ণয় এবং চিকিৎসা করছে। আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে যক্ষ্মা নির্মুল করতে হবে। এই মাসে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী টিবি নির্মূলের জন্য করণীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করবেন। যা আমাদের যক্ষ্মা নির্মূলে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বৃদ্ধি, মান উন্নয়নে যথাযথ নীতি-নির্ধারণীমূলক উদ্যোগ নেওয়া, পরীক্ষার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে বিনা পয়সায় ওষুধ খাওয়ানো, সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় লিফলেট বিতরণ এসব কাজ গুরুত্বসহকারে করতে হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের, সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, নির্বাহী পরিচালক, আইএসিআইবি অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ডা. মুহাম্মদ আব্দুল হাদী খান, এবং ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ প্রমুখ।
সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, ধূমপান থেকে মুক্তি ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের শপথ করান। এর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বাত্বক সহায়তায় একাত্বতা প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অতিথিরাও এই শপথ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
আরকেআর/এএটি