ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বেসিক চিকিৎসা অনুষদ ভবনের প্যাথলজি বিভাগে টিউমারজনিত ক্যান্সারবিষয়ক টিউমার রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রোববার সকালে প্যাথলজি বেইজড এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, বেসিক চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সেলান, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর মেডিসিন ও হিউম্যান জেনেটিকসের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর ক্যান্সার এপিডেমিওলজি অ্যান্ড প্রিভেনশনের ডাইরেক্টর অধ্যাপক হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক সৈয়দ মোকাররম আলী, প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. আবু নাসার রিজভী প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর এক সমঝোতার স্মারকের ভিত্তিতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর সেন্টার ফর ক্যান্সার এপিডেমিওলজি অ্যান্ড প্রিভেনশন, মেডিসিন ও হিউম্যান জেনেটিকস সহায়তা করছে।
এর আগে সকাল ৯টায় প্যাথলজি বেইজড টিউমার রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল শ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এই কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করে বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্যাথলজি বেইজড টিউমার রেজিস্ট্রি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি তার বক্তব্যে ভেজাল ও তেজষ্ক্রীয় মিশ্রিত খাবার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষক ও চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল তার বক্তব্যে এ কার্যক্রম সফল ও দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্য বক্তারা বলেন, এই কার্যক্রম থেকে কোন কোন টিউমার প্রতিরোধযোগ্য তা জানা যাবে। টিউমার চিকিৎসার ধরনেও আসতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন।
বক্তারা বলেন, স্থান-কাল এবং পাত্র ভেদে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্যান্সারের বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। উন্নত বিশ্বে টিউমার রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এ ব্যাপারে বিভিন্ন সমীক্ষা চলে। বাংলাদেশে প্যাথলজি বেইজড টিউমার রেজিস্ট্রি কার্যক্রম এই প্রথম। এর মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে কোন বয়সে কোন ধরনের টিউমারের প্রবণতা বেশি, কোন সম্ভাব্য কারণের জন্য কোন টিউমার হতে পারে, কী ধরনের টিউমারে আক্রান্ত রোগী কতদিন বেঁচে থাকে, চিকিৎসার ফলাফল ইত্যাদি রেকর্ড করা হয়।
বক্তারা টিউমার রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগ থেকে যাত্রা শুরু করে পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১২
এমএন/এআর/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর