ঢাকা: দেশেই কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে নি (হাঁটু) প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজধানীর অ্যাপোলো নি সেন্টারের কনসালটেন্ট ডা. এম আলী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের নি সেন্টারে যেসব রোগীর লিগামেন্ট পুণঃস্থাপন এবং টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করা হয়েছে সে সব রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের এ কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ডা. প্রসাদ আর মুগলিকার আমন্ত্রিত সব অতিথিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
নি সেন্টারের আধুনিক ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া রোগীরা আবেগ আপ্লুত ও অশ্রুসিক্ত হয়ে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ ও নি সেন্টারের কনসালটেন্ট ডা. এম আলীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সিলেট, জয়পুরহাট, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীরা একবাক্যে ডা. এম আলীর চিকিৎসার প্রসংশা করেন।
তারা ডা. এম আলীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, একজন বিশ্বমানের হাঁটু চিকিৎসক থাকায় দেশের সাধারণ জনগণ এ চিকিৎসা সেবা দেশেই পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের মধ্যে অনেকেই বিদেশ থেকে ফিরে এসে এম আলীর কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বর্তমানে সুস্থ জীবন যাপন করছেন বলে জানান।
বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় একই মানের চিকিৎসা সেবা এখানকার নি সেন্টারে অনেক কম খরচে হয় বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ২ বছরের মধ্যে অ্যাপোলো নি সেন্টার প্রায় ১১ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৮৬ জন রোগীর সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। যাদের মধ্যে ২’শ ৩০ জন রোগীর লিগামেন্ট পুণস্থাপন এবং ৫২ জন রোগীর হাঁটুর অস্থিসন্ধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এতো সফলতার পরও রোগীরা কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। এসব সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার ডা. শাগুফা আনোয়ার অ্যাপোলোর সেবা সম্পর্কে রোগীদের উপদেশগুলো অতিদ্রুত আমলে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাপোলো নি সেন্টারের কনসালটেন্ট ডা. এম আলীর কাছে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, দরীদ্র রোগীদের চিকিৎসার জন্য কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা এবং ছোট ছোট দুর্ঘটনায় হাঁটুতে ব্যথা পেলে কী করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকা যায় এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতে।
তিনি বিষয়গুলো মন দিয়ে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ডাক্তার, রোগী ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২
সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর