ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

তামাককে নেশাজাতীয় পণ্যের তালিকায় আনা দরকার: ডা. বিধান রঞ্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৭, অক্টোবর ২২, ২০২৫
তামাককে নেশাজাতীয় পণ্যের তালিকায় আনা দরকার: ডা. বিধান রঞ্জন সেমিনার

ঢাকা: তামাককে নেশাজাতীয় পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা জরুরি বলে মত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা: তরুণ চিকিৎসকদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, তামাক এমন এক নীরব ঘাতক, যা শুধু ফুসফুস নয়, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছেন তামাকজনিত রোগে। এটি আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় অন্তরায়।  

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগীভাবে সংশোধন করা জরুরি। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলোকে তামাকমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু ধূমপান নয়, পান ও জর্দাসহ সব তামাকপণ্যই ক্ষতিকর। ধোঁয়াবিহীন তামাককে অনেক সময় কম ক্ষতিকর ভাবা হয়, অথচ সেটিও ভয়াবহ ক্ষতি করে। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে তামাকবিরোধী সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যেন তারা শ্রেণিকক্ষে তা বাস্তবায়ন করতে পারেন।  

তামাককে মাদকদ্রব্য হিসেবে বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তামাকও এক ধরনের মাদক। এটিকে ‘অ্যাডিকটিভ সাবস্ট্যান্স’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা—সেই সিদ্ধান্ত নেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অর্থাৎ সাইকিয়াট্রিস্টরা। তাদের গবেষণায় প্রমাণিত, তামাক একটি আসক্তিকর পণ্য। অথচ রাজনৈতিক প্রভাব ও তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপের কারণে তামাককে সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই রয়েছে রাজনীতি।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন।
সহ-সভাপতি ডা. রামিসা ফারিহা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আখতারউজ-জামান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা মো. নাইমুল আজম খান, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. অরুনা সরকার, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর এবং তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।  

আরকেআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।