ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডাব্লিওএইচও) স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গবেষণাগারে পরীক্ষিত মানসম্পন্ন, জীবাণুমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ব্যবহার করে দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।
শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্রেস্ট-ফিডিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) চেয়ারপার্সন ডা. এস কে রায় বাংলানিউজকে বলেন, দেশব্যাপী যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ভিটামিনে শিশু মৃত্যুর কোন কারন নেই।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গবেষণাগারে পরীক্ষিত মানসম্পন্ন, জীবাণুমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ব্যবহার করে দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চলছে। আপনার শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে তাকে অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান। ’’
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ছয় মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর শিশু একাডেমী, বুয়েট গেট, বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা, সেগুনবাগিচা ঘুরে দেখা গেছে, ভলেন্টিয়াররা শিশুদের টিকা খাওয়াচ্ছেন। বাবা মায়ের সঙ্গে আসছে শিশুরা।
উল্লেখ্য, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি ২ থেকে পাঁচ বছর বয়সী দেশের সব শিশুকে কৃমিনাশক বড়ি এলবেনডাজল খাওয়ানো হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখের অধিক শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। আর এক কোটি ৬৭ লাখের অধিক শিশুকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হয়।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানোর পাশাপাশি ‘জন্মের পর পূর্ণ ছয়মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সবাইকে বলুন’ এ বার্তাটিও পৌঁছে দেওয়া হয়।
দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল আদায় কেন্দ্র, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থেকে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক কৃমিনাশক বড়ি এলবেনডাজল খাওয়ানো হয়।
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক জানিয়েছেন, “ভিটামিন ‘এ’ ক্যপসুল খাওয়ানোর কারণে রাতকানা রোগ কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে বছরে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো। সেখানে বর্তমানে এই হার নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৩
এমএন/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]