রাজশাহী: চিকিৎসা সেবায় প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে নতুনমাত্রা। আর তা ছড়িয়ে যাচ্ছে সর্বত্র।
একই সঙ্গে মোবাইল ফোনে চিকিৎসা সেবার নতুন ধারণা শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর সেলফ রিলায়েন্স, কমিউনিকেশন অ্যান্ড হেল্থ’র (ডাসকো) সহযোগিতায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের বিকল্প ভ্যানগাড়ি রোগী বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর মোবাইল ফোনেও দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা বিষয়ক তথ্যসেবা।
একজন দক্ষ ভ্যানচালককে একটি মোবাইলসহ ভ্যানগাড়ি চালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোবাইলে জরুরি সার্ভিসও দেওয়া হয় এই কমিউনিটি ক্লিনিকে।
ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মোবাইলে কল করলেই ভ্যানচালক মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আসেন ক্লিনিকে। এই উদ্যোগের ফলে সফলভাবে তিনটি সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হয়েছে। মা-সন্তান প্রত্যেকেই এখন সুস্থ আছে।
তিনি জানান, এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় পুঠিয়ার স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১৪টি ভ্যানগাড়ি ও ২৮টি মোবাইল ফোন বিতরণ করেছেন। যা স্বাস্থ্য সেবায় নতুনমাত্রা যোগ হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবার এমন আশাব্যঞ্জক সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মাইনুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক নাসরিন আফরোজ, সিনিয়র কনসালটেন্ট মানিক মাহমুদসহ উপজেলা ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেন।
পুঠিয়ার সাধানপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশু ও মাতৃসেবা কেন্দ্রের এই নতুন ধারণা দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে ছড়িয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানোসহ শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসএস/টিআই