ঢাকা: স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে শুরু হচ্ছে সেবাদান কার্যক্রম। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলিকে একটি হেলথ কার্ড প্রদান করা হবে এবং এ কার্ডের মাধ্যমে তারা ৫০টি রোগের সার্বিক চিকিৎসা পাবেন বিনামূল্যে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অর্থিনীতি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এ কর্মসূচির অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব পরিবারকে পরিবারপ্রতি একটি করে স্বাস্থ্যকার্ড প্রদান করা হবে। এ কার্ডের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন এবং ৫০টি রোগের (রোগ নির্ণয়, ঔষধ, পথ্যসহ) পূর্ণ চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন।
এ চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবারপ্রতি বার্ষিক এক হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসাবে সরকার প্রদান করবে, যার বিনিময়ে প্রতিটি পরিবার বার্ষিক সর্বোচ্চ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা লাভ করবেন কার্ডধারীরা।
পাইলট চলাকালে এ প্রিমিয়ামের অর্থসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন সেক্টরের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সংস্থান করা হবে। পরবর্তীতে সরকারি বরাদ্দ এবং স্বচ্ছল পরিবারের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে কর্মসূচিটির অর্থায়ন করা হবে।
পাইলটের প্রাথমিক পর্যায়ে এ সেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল এবং প্রয়োজনে জেলা হাসপাতাল থেকে প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও চিকিৎসা গ্রহণের জন্য জনগণের নিজ পকেট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়। যা মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় অথবা তারা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
দরিদ্র জনগণের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি' পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি’২০১১ এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের বিধান অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি, মধুপুর ও ঘাটাইল- এ তিনটি উপজেলায় এ পাইলট কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে ধাপে ধাপে এ কার্যক্রম সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে।
সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য হাসপাতালভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন এবং সেবা গ্রহণে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে এ কর্মসূচি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কালিহাতিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অসুখের নাম দেখতে ক্লিক করুন:
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
এমএন/এএসআর