ঢাকা: পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকলেও রাজধানীর মিরপুরের নিউ আল রাজী ক্লিনিকে চলছিল সব চিকিৎসাই। প্যাথলজিস্ট, এমনকি চিকিৎসকের কাজও করেন টেকনোলজিস্ট।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ চিত্র দেখতে পান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় র্যাব সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বেসরকারি ক্লিনিক) ডা. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, গত বুধবার মিরপুরের বিএম হাসপাতাল ও নিউ আল রাজী ক্লিনিক পরিদর্শনে দেখা যায় দুটি ক্লিনিকেরই অপারেশন থিয়েটার ছিলো নোংরা। ল্যাবরেটরি ও প্যাথলজি ছিলো নিম্নমানের। ক্লিনিকের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনবলের সংকট।
মিরপুর-১ এর নিউ আল রাজী ক্লিনিকে গিয়ে ফেক রিপোর্টিং পাওয়া যায়। ফেক রিপোর্টিংয়ে প্যাথলজিস্ট ও চিকিৎসকের স্বাক্ষর করেছেন টেকনোলজিস্ট। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
২৯ বেডের এ ক্লিনিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ক্লিনিকটিতে চিকিৎসক ও প্যাথলজিস্টকে পাওয়া যায়নি।
ডা. শাহজাহান জানান, আরেকটি ক্লিনিক হচ্ছে মিরপুর-২ এর বিএম হাসপাতাল। এ ক্লিনিকের পরিবেশও ছিলো নোংরা। পর্যাপ্ত জনবল নেই। অতি পুরনো এ হাসপাতাল কত বেডের তা ওই মুহূর্তে জানাতেই পারেনি কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিকটিকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
এমএন/এএ