সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে ‘৫০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, ট্রান্সপ্লান্টেশনের চাহিদা অনুযায়ী কিডনির স্বল্পতা রয়েছে দেশে। এছাড়াও কিডনি দাতারা দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভোগেন। হাইপারটেনশন, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হয়। তাদের লং টাইম ফলো আপ করতে হয়। যেটা সম্ভব হয় না সবক্ষেত্রে।
ফলে, এখন মৃত ব্যক্তির, অর্থাৎ নিশ্চিত মৃত্যুর পূর্বে রোগীদের কিডনি প্রতিস্থাপনের ওপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ওপরও জোর দেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. ওহাব বলেন, বর্তমানে পরিবার ছোট হয়ে আসছে। আবার পরিবারের সদস্যরাও কিডনি দিতে চাচ্ছে না। ফলে কিডনির যে সংকট তৈরি হচ্ছে তার সমাধানে মৃত ব্যক্তির কিডনির ওপরই জোর দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। উন্নয়নশীল দেশে যা আরও বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মিলিয়ন লোক এই রোগে ভুগছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
এমএন/আরআর/পিসি