শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ক্যান্সার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে বক্তারা।
আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ১০০ বেডের ইনডোর, বিকিরণ চিকিৎসার জন্য ১টি টেলিথেরাপি, ব্রাকিথেরাপি মেশিন, ক্যান্সারের অপারেশনের ব্যবস্থা, ইনডোর ও ডে-কেয়ারে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মলনে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক ও শাহানা আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান ৯১ হাজার। ফলে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ক্যান্সারেরর চিকিৎসার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মাত্র ১টি। তাই কেমোথেরাপির জন্য ২-৩ সপ্তাহ, বিকিরণ চিকিৎসার জন্য ৫ মাস পর্যন্ত অনেককে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য এসে রোগী হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ না পেলে স্বজনসহ অবর্ণনীয় পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এই অবস্থায় অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে আরও বির্পযয়ের মুখোমুখি হন।
চিকিৎসা প্রার্থীর চাপ সামলানো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনোভাবেই সম্বব নয়, বলেন বক্তারা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রাথমিক প্রতিরোধের প্রধান উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ও টিকাসহ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থায় উদ্বুদ্ধ করা। এ ক্ষেত্রটি সবচেয়ে অবহেলিত। সরকারের কিছু উদ্যোগ আছে, সমন্বয়ের অভাবে তা দৃশ্যমান প্রভাব ফেলতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ