তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে কমে যাচ্ছে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ৯৮ ভাগই হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চলে।
আগামী ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলের রুপরেখা প্রণয়ন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ জানান, বাংলাদেশে ৩ পার্বত্য জেলায় রোগের প্রকোপ বেশি। সারা বছরই রোগী পাওয়া যায়। জুন-জুলাই মাসে সংখ্যাটা বেশি থাকে। পার্বত্য জেলার সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের কিছু বন সংলগ্ন উপজেলায় এ প্রকোপ মাঝারি। বনে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৮টি পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় ম্যালেরিয়া প্রায় নিমূর্লের পথে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশের কয়লা খনিতে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে থাকায় বাহক মশার অনুপ্রবেশ হতে পারে। এছাড়াও চা বাগানের কর্মরত নারী ও সঙ্গে যাওয়া শিশুরাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
সমতলের ৫১ জেলা ম্যালেরিয়া মুক্ত রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬০ জন ব্যক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য বাংলাদেশে ৪ স্তর বিশিষ্ট কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, রোগ প্রতিরোধে কীটনাশকযুক্ত মশারির ব্যবহার, সন্দেহজনক জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া, রোগ ও কীটতাত্ত্বিক নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. সানিয়া তহমিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ এপ্রিল ২৩, ২০১৭/আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা
এমএন/আরআইএস/জেডএস