ঢাকার প্রথমসারির বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অ্যাপোলো, ইউনাইডেট, স্কয়ার, ল্যাবএইড, পপুলার ও ইবনে সিনা অন্যতম। দেশ-বিদেশের ‘সেরা’ সব ডাক্তার এসব হাসপাতালে চিকিৎসা দেন বলেই প্রচারণা তাদের।
চিকিৎসার চেয়ে এদের মনোযোগ যেন সুন্দর পরিপাটি রুমের দিকে। কারণ তাতে অর্থ নেওয়া যাবে বেশি। ভিআইপি সুইট, ডিলাক্স সুইট, স্ট্যান্ডার্ড সুইট, লাক্সারি সিঙ্গেল প্রভৃতি ক্যাটাগরি দেখলে যে কেউ এটা হাসপাতাল কিনা ভুল করবেন।
এদের মধ্যে কয়েকটি হাসপাতালের আবার রয়েছে নিজস্ব ফার্মাসিউটিক্যাল। সেখানে চিকিৎসাসেবার জন্য গেলে ডাক্তাররা লিখছেন তাদের কোম্পানির ওষুধ। মান, দাম বিচার না করে রোগীরাও কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সেগুলো। কোনো রোগী হাসপাতালে ঢুকলেই এটা-সেটা টেস্ট ধরিয়ে দেওয়া নতুন নয়। রোগীদের এখন ধারণা হয়ে গেছে তবে কি এসব হাসপাতালের ডাক্তাররা টেস্টনির্ভর?
রোগী ভর্তি করার পর সিরিয়াস দেখিয়ে সিসিইউ, আইসিইউতে রেখে কিংবা নিত্যনতুন ওষুধ-ইনজেকশনের কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগও নতুন নয়। এমন কি মরদেহ আটকে রেখে অর্থ আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী ডাক্তার, নার্স কিংবা অন্য সেবা পেতেও বেগ পেতে হয় এসব হাসপাতালে। আবার ভর্তি রোগীদের শরীর না ছুঁয়েই কয়েক সেকেন্ডে ডাক্তার তোলেন হাজার টাকা ভিজিট।
এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগী, রোগীর স্বজনরা বাংলানিউজকে জানাতে পারেন তাদের অভিজ্ঞতা। বিস্তারিত জানিয়ে ই-মেইল করুন: [email protected] এই ঠিকানায়। লিখুন অ্যাপোলো, ইউনাইডেট, স্কয়ার, ল্যাবএইড, পপুলার ও ইবনে সিনা- এই ছয় হাসপাতালে চিকিৎসা বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা। প্রয়োজনে পাঠান চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ছবি ও নথিপত্র। এছাড়া অন্য কোনো হাসপাতাল- সেটা সরকারি-বেসরকারি যাইহোক না কেন, তাদের বিষয়েও লিখতে পারেন। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তা তুলে ধরবো বাংলানিউজের কোটি পাঠকের সামনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এএ/