বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর এলাকায় হলেও কর্মসূত্রে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় থাকেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যার দিকে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ট্রেনে ওঠার সময় পড়ে গিয়ে অাহত হন পেয়ারা বেগম।
স্ত্রী যখন ঢামেকের অপারেশন রুমে, তখন ইয়াসিন নামে এক দালাল এসে আজাদকে বলে, আপনার স্ত্রীর জরুরি ভিত্তিতে রক্ত লাগবে। রক্ত কিনতে টাকা লাগবে। টাকা দেন।
এ সময় ইয়াসিনকে আজাদ বলেন, আমি গরিব মানুষ, কমলাপুর স্টেশনে থাকি। আমি দিন মজুরি করি। আমার কাছে কোন টাকা নেই।
তখন দালাল ইয়াসিন তাকে একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে বলে, আপনি টাকা যোগাড় করে আমার বিকাশে পাঠিয়ে দিন। আমি রক্তের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
এরপর আজাদ তার স্ত্রীকে ওটিতে রেখে রাত ১টার দিকে বেরিয়ে যান টাকা যোগাড় করতে।
স্ত্রীর খোঁজ নিতে বুধবার ভোরে হাসপাতালে আসেন আজাদ। এসময় দালাল ইয়াসিন তার কাছে রক্তের টাকা দাবি করে। তখন আজাদ তাকে বলেন, অনেক চেষ্টা করেও টাকা যোগাড় করতে পারিনি। আমার স্ত্রীর খবর কি? উত্তরে দালাল ইয়াসিন বলে, তোমার স্ত্রীর লাশ মর্গে।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কে এই দালাল ইয়াসিন, তাকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এজেডএস/জেডএম