চিকুনগুনিয়া জ্বরের উৎস হলো এডিস মশা। এই এডিস মশার প্রাদুর্ভাবের কারণেই শত শত মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনই এডিস মশা নিধনে কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মিরপুরের ব্যবসায়ী সোহেল আহম্মদ এক চায়ের দোকানে বসে সবার উদ্দেশ্যে বলছিলেন- এডিস মশা নিধনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে দুই সিটি কপোরেশনই। তারা টিভিতে জনগণকে এডিস মশা নিধনে জন-সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু গত ২ মাসে এডিস মশা নিধনে দুই সিটি কি কি পদক্ষপ নিয়েছে তা জনগণকে জানানো হোক।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি সিটি কর্পোরেশনের লোকজন মাঠে এডিস মশা নিধনের কাজ করে থাকে, তাহলে মশা মরলো না কেন?
রামপুরার এক রেস্তোরাঁয় বসে এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হায়দার আলী বলেন, সারা দিন ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হই। আমার প্রায় সব বন্ধু এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এর যে কি কষ্ট তা তাদের কাছ থেকে শুনেছি। এখন তো একটু শরীর ব্যথা হলেই মনে হয়, এই বুঝি চিকুনগুনিয়া ধরে ফেললো। আমাদের এই আতঙ্ক থেকে বাঁচাতে দুই সিটি করপোরেশন আরো উদ্যোগী হোক। এডিস মশা নিধন না হওয়া পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশনের সবার ছুটি বাতিল করা হোক।
শুধু সাধারণ মানুষ নন, চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও এখন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অনেক স্টাফ চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রতি পরিবারে ৫/৬ জন এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
তাই এডিস মশা নিধনের জোর দাবি জানান তারাও।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
জেডএম/