আরেক বিরল রোগ নিয়ে অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাজনদার। তাই শিশু মুক্তার কষ্টটা তিনি হয়ত ঠিকই টের পান।
রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তার পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন তিনি। শিশুর বাবা-মার সঙ্গেই অস্ত্রোপচারের সময়টুকু কাটিয়েছেন বাজনদার।
বাজনদার বলেন, মুক্তাও আমার মতো বড় রোগে আক্রান্ত। সে খুবই ছোট তার জন্য মায়া হয়। থাকতে পারিনি, তাই সকালে উঠেই তাকে দেখতে আসলাম।
ট্রি-ম্যান সিনড্রোমে ভোগা বাজনদার গত এক বছর আট মাস থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৫১৫ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।
এদিকে দ্বিতীয় দফায় মুক্তার অপারেশন শেষ হয়েছে। তার ডান হাতে সমস্যার শুরু। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়; ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! সে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে। এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে এলে গত ১১ জুলাই ভর্তি করা হয় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে। চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয় দফায় মুক্তামনির অস্ত্রোপচার সম্পন্ন
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এজেডএস/আইএ