মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডা. গৌতম কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ চুলকানি, খোঁস-পাঁচড়া এবং সর্দি-কাশি ও জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফকির রাস্তা ও নেংঙ্গুড়াহাটে পৃথক দু’টি স্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প এবং উপজেলা ব্যাপী ২০টি মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়াও নওয়াপাড়া-সুন্দলী রাস্তা এবং কেশবপুর ও মণিরামপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে আশ্রয় নেওয়া মণিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের হাসাডাঙ্গা গ্রামের হামেদ গাজী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছর পানিতে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে যায়। কয়েক মাস রাস্তার ওপর ছিলাম। এখনো সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতে আবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। গরু, ছাগল নিয়ে রাস্তার ওপর আছি। কিন্তু ইতোমধ্যে পানি বিষাক্ত গেছে। পানিতে পা দিলেই চুলকাচ্ছে।
ওই এলাকার গৃহবধূ রেহেলা পারভীন বলেন, ‘খাবার পানির খুব সংকট। রাস্তার ওপর কয়েকটি কল বাসানো হয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে ঘোলা পানি আসে। মাঝে মধ্যে খাবার পানিতে মেশানোর জন্য বড়ি দেয়। তবে চুলকানি নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি। এর থেকে আমাদের মুক্তির উপায় কী তাই নিয়ে ভাবছি। ’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘অভয়নগরের কিছু এলাকা জলাবদ্ধতা থাকলেও কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি, গত কয়েকদিনে পানি কমে গিয়েছিলো, কিন্তু শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টিতে আবারও হালকা পানি বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, বৃষ্টি না হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
ওএইচ/