বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গেলে এ চিত্র ধরা পড়ে। পরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযানকালে ডা. এটিএম জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের প্রায় দুই হাজার খালি প্যাড পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রোগীদের ডাক্তারের তত্ত্বাবধান ছাড়াই ‘হাতুড়ে’ টেকনোলজিস্ট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে ওই স্বাক্ষরিত প্যাডে রিপোর্ট হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়াও মেডিকেল টেস্টের জন্য নির্ধারিত কোন ফিসের তালিকা প্রদর্শন না করে সরকার নির্ধারিত ফিসের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ফি আদায় করা হয়।
একতা হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারে অপর্যাপ্ত আলো এবং ব্যবহৃত কাঁচিতে মরিচা ধরা, ব্যবহৃত গজ ও ব্যান্ডেজ অপরিষ্কার এবং ব্যবহার অনুপযোগী। নার্স ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানদেরও কোনো পেশাগত সার্টিফিকেট নেই। এছাড়াও ৪০ শয্যার অনুমোদন নিয়ে ৬০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করছে। লাইসেন্সের শর্ত ভেঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও সুইপারের উপস্থিতি কম রেখেছে। উপরন্তু নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাসপাতাল পরিচালনা করছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিরাজুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শহরের দড়াটানা মোড়ে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানে অভিযানকালে ডা. সামসুউদ্দিন আহম্মেদ খান সাক্ষরিত মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের ২০০ খালি প্যাড পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করছে। এছাড়াও মেডিকেল টেস্টের জন্য নির্ধারিত কোন ফিসের তালিকা প্রদর্শন না করে সরকার নির্ধারিত ফিসের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ফি আদায় করা হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার খায়রুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উভয় অভিযানে যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সেলিম রেজা, পেশকার বদিউজ্জামান এবং বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৭
জেডএম/