প্রদাহের সমস্যা রোধে কিছু খাবার খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এসব খাবার যোগ করলে প্রদাহ রোধ করা বেশ সহজ হয়ে ওঠে।
১. জলপাই তেল
জলপাই তেলে এক প্রকার রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান যা দেহের প্রদাহ সৃষ্টিকারী অ্যানজাইমগুলোকে দমন করে। সালাদসহ অন্য খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার করলে প্রদাহজনিত সমস্যা রোধে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে।
২. আনারস
আনারসে ব্রোমেলিয়ান নামক এর প্রকার অ্যানজাইম বিদ্যমান। হাঁটুর বাত (আর্থ্রাইটিস) রোধে এটি কার্যকর। এটি দীর্ঘ সময় ভ্রমণ থেকে সৃষ্টি হওয়া ব্যথা কমাতেও সহায়ক।
৩. আপেল
স্বাস্থ্য সচেতনদের জনপ্রিয় ফল আপেল। এতে কোয়ার্সেটিন নামক প্রদাহ রোধকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান।
৪. বাদাম
বাদামের মধ্যে বিদ্যমান ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যথার প্রতি দেহের সংবেদনশীলতা কমাতে সহায়ক। খাওয়ার একঘণ্টার মধ্যে এর কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ ও সামুদ্রিক মাছেও একই উপাদান বিদ্যমান।
৫. হলুদ
হলুদের মধ্যে বিদ্যমান কারকুমিন দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। পেট ব্যথা ও পাকস্থলীর আলসার রোধেও হলুদ কার্যকরী। এসব সমস্যার উপশমে রান্নায় প্রয়োজন মতো হলুদ ব্যবহার করা উচিত।
৬. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে প্রদাহ রোধকারী উপাদান বিদ্যমান। আমিষের অভাবজনিত বিভিন্ন প্রদাহ রোধ করতে ডার্ক চকলেট কার্যকরী।
৭. আঙুর
আঙুরের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভনয়েড ও রেসভারাট্রোল। এগুলো প্রদাহ রোধে অ্যাসপিরিনের মতোই কার্যকরী। রেসভারাট্রোল পারকিনসন ও আলজেইমার রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৮. সামুদ্রিক মাছ
বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেমন- টুনা, স্যামন, সাডিন ইত্যাদিতে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক এক প্রকার ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা-৩ প্রদাহ রোধে সহায়ক। এসব মাছ রান্নার পাশাপাশি গ্রিল বা বেক করেও খাওয়া যেতে পারে।
৯. আদা
রান্নায় নিত্য-প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো আদা। এটি প্রদাহজনিত ব্যথার উপশমে সহায়ক। তরকারি ছাড়াও চা অথবা সালাদের সঙ্গে আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০. টার্ট চেরি
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও খেলাধুলা বা ব্যায়ামের পর সৃষ্টি হওয়া ব্যাথা কমাতে টার্ট চেরির কোনো তুলনা নেই। এ ফলের অ্যান্থোসিয়ানিন দেহে অ্যাসপিরিনের মতো কাজ করে। রাসবেরি বা স্ট্রবেরিও প্রদাহ উপশমে সহায়ক। টার্ট বেরি জুস করে সকালের নাস্তার সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ