সিলেট সফররত ভারতীয় ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মেয়র জানান, সিলেট নগরীসহ বৃহত্তর সিলেটে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক।
প্রাথমিকভাবে নগরীর কুমারপাড়ায় সিসিকের নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনে এ সেন্টার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানান মেয়র আরিফুল।
এ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুভিত্তিক বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতার হেলথকেয়ার গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ (এইচসিজি)। এইচসিজি’র ভাইস চেয়ারম্যান যোগেন্দ্র রাওয়াত এবং ভারতের খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. জি অমরনাথ শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় প্রস্তাবিত ডে কেয়ার কেমোথেরাপি সেন্টার পরিদর্শন করে গেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট সফররত ভারতীয় ডাক্তারদের সঙ্গে মতবিনিময সভায় মিলিত হন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য শাখায় বর্তমানে ৩ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। এছাড়া নগরবাসীর সেবায় সিসিক বিনোদিনী নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ একাধিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করছে। সিলেট অঞ্চলের ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখনো কোনো মানসম্পন্ন কেমোথেরাপি সেন্টার গড়ে ওঠেনি। ভারতের বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতালের সহায়তা পেলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ডে কেয়ার কেমোথেরাপি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সভায় ভারতের এইচসিজি হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান যোগেন্দ্র রাওয়াত জানান, হেলথ কেয়ার গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মোট ২৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল পরিচালনা করছে। ভারত ছাড়াও আফ্রিকার কেনিয়াতে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল পরিচালনা করছে। বাংলাদেশেও এ হাসপাতালের সেবামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণে আগ্রহী। এটি চালু হলে ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করতে হবেনা।
মেডিক্যাল ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ডিএমটি গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক কাওসার আহমদ আবদুসের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজউদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এনইউ/জেডএস