দাবি মেনে নেওয়া না হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২১ মে) হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানিয়েছে হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখানে এসে স্থানীয় এমপিকে এককালীন ১১ কোটি টাকা এবং বাৎসরিক (২০১৭-২০১৮) ১০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি করে ১২ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু অনেক ঘোরাঘুরির পরও সেই টাকা পাওয়া যায়নি। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।
বক্তারা আরও বলেন, হাসপাতালটি তার চলমান সেবা কার্যক্রম দিতে গিয়ে এখন দায়গ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় সময় দুই থেকে তিন মাসের বেতন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা থাকছে। হাসপাতাল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই ঋণ দায়গ্রস্ত হওযার কারণে কখনো তাদের কার্যক্রমেরও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আজ কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এভাবেই প্রতিদিন আন্দোলন করবো। এ সময় তারা মঙ্গলবার (২২ মে) সকাল ১১টায় আবারও কর্মসূচি পরিচালনার ঘোষণা দেন।
সংগঠনটির সভাপতি বুলবুল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান, ডা. মাকসুদুল আলম, হাফিজুর রহমান, ইলিয়াস, বাবুসহ প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূলত যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন তা হলো- এ পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন বা পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। প্রতিমাসের বেতন ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। যেহেতু এই হাসপাতালটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেহেতু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব সুবিধা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
জিএমএম/এমএএম/এএটি