সোমবার (২১ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস দ্য নেশনসের অ্যাসেম্বলি হলে সৌজন্য সাক্ষাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যে সফলতা দেখিয়েছে তা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুস্মরণীয় এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় টেডরস আধানম গেব্রিয়াসেস বাংলাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় সফলতা দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার মান যথেষ্ঠ উন্নতি সাধিত হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যখাতের এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে বাংলাদেশে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডব্লিউএইচও মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাখার জন্য মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের প্রশংসা করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও এখন আন্তর্জাতিকমানের টিকা উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি টিকাগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান।
সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন- ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, বাংলাদেশে চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার এম শামীম আহসান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/