মঙ্গলবার (২২ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিবেশনে স্বাস্থ্যখাতের বিশ্ব নেতাদের সামনে নির্ধারিত বক্তব্যে এমন লক্ষ্য ও অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে, যেটা এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম অংশ হিসেবে পুষ্টি উন্নয়নকেও আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিক নির্দেশনার আলোকে কর্মপরিকল্পনাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়া জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কাজ চলছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগের চেয়ে অনেক অগ্রগতি ঘটেছে। শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা গেছে, সংক্রামক রোগেও মৃত্যু কমেছে।
এসময় মোহাম্মদ নাসিম রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সে দেশ থেকে বিতারিত ১০ লাখের বেশি মানুষকে মানবিক কারণে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। তাদের কেবল আশ্রয়ই নয় খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আরও কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহায়তা করছে।
বাংলাদেশে ওষুধ খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কম দামে উচ্চ মানসম্পন্ন সব ধরনের ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্য আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
এর আগে বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালক ফাদিয়া সাদাহ্ জাতিসংঘ ভবনের এক সভাকক্ষে বৈঠকে মিলিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য প্রস্তাব বিশ্বব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হবে।
মোহাম্মদ নাসিম এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়নসহ বিভিন্ন সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমএএম/আরআর