রোববার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জনগণের স্বাস্থ্য আন্দোলন (পিএইচএম)-বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য সম্মেলন জাতীয় আয়োজক কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. লায়লা পারভীন বানু, সম্মেলন আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী জাকির হোসেন, সম্মেলন আয়োজক কমিটির আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ড. অমিত সেনগুপ্ত, ড. অমিতাভ গুহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তবে গড় আয়ু বাড়লেও মানুষকে জীবনের শেষ পর্যায়ে প্রায় ১০-১৫ বছর ডাক্তারদের পেছনে দৌড়াতে হয়। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত কিভাবে করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে এ স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দরিদ্রদের জন্য সমতাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার প্রচলন করা, ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি উৎপাদন, বণ্টন, ও ব্যবস্থাপনা গণমুখী করা নিয়ে আলোচনা করা, স্বাস্থ্যখাতে ভর্তুকি ও বাজেট বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত খরচ বৃদ্ধি রোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে প্রথম আন্তজার্তিক জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সম্মেলন ২০০০ সালে ঢাকায়, দ্বিতীয় সম্মেলন ২০০৫ সালে ইকুয়েডরে, তৃতীয় সম্মেলন ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ