ঢাকা: বিশ্বে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও এই বৃদ্ধির হার অনেক বেশি।
রোববার দুপুরে বারডেম হাসপাতালের অডিটরিয়ামে বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়বেটিস সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতির উন্নয়ন এবং শারীরিক পরিশ্রম বাড়ানোর মাধ্যমে ৭০ ভাগ ডায়বেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে শুধু নিজেদের সচেতন হলেই চলবে না, অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডায়াবেটিস রোগের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ১৯৮৫ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি, বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ৩৬ কোটি। গত আড়াই দশকে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ১২ গুণেরও বেশি বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কা করা হয়, যদি এখনই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা না যায় তবে আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ৫৫ কোটিতে পৌঁছবে।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন না হলে এবং এ রোগ নিয়ন্ত্রণ না করলে রোগীর কিডনি, চোখ, হৃদপিন্ড, পাঁসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং যথাযথ চিকিৎসার অভাবে অসংখ্য মানুষ অন্ধ, পঙ্গু এবং অকালে মৃত্যু বরণ করছে। এ পরিস্থিতিতে একমাত্র সচেতনতাই প্রতিরোধের একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান।
এ সময় সমিতির সহ-সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক এ আর খান ও ব্যারিস্টার রফিকুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস হাজেরা মাহতাব, সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, চিফ কো-অর্ডিনেরট মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১১