সম্মেলনে বলা হয়, নব্য উদারতাবাদ ও মুক্ত বাণিজ্যের সুযোগে আন্তর্জাতিক মুনাফালোভী ওষুধ কোম্পানিগুলো সারা বিশ্বে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উন্নত বিশ্বে বিমা সুবিধার কারণে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া হলেও অনুন্নত বিশ্বে ওষুদের অনিয়ন্ত্রিত মান ও মাত্রাহীন মূল্য বিশাল সংখ্যক জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রোববার (১৮ নভেম্বর) ‘৪র্থ আন্তর্জাতিক জনগণের স্বাস্থ্য সম্মেলন-২০১৮’র তৃতীয় দিনে ওষুধে অভিগম্যতা শীর্ষক উপ-অধিবেশনে বক্তারা একথা বলেন। ভারতের প্রখ্যাত স্বাস্থ্য আন্দোলন কর্মী মীরা শিভা, যুক্তরাজ্যের লিন্ডা মারকোভা, সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের অমিতাভ গুহ এবং মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত আইনজ্ঞ থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের পরিচালক চি ইয়ক লিং এ অধিবশনে বক্তব্য রাখেন।
ব্রাক-সিডিএম-এ আয়োজিত এ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে মূল অধিবেশনসহ পাঁচটি উপ-অধিবেশন ও সাতটি বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন হেলথ অ্যাকশন ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক, ফিলিপাইনের প্রধান ড. ডেলেন ডি লা পাজ। বক্তব্য রাখেন কলম্বিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং কলম্বিয়া ন্যাশনাল মুভমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটির সদস্য ড. মরিসিও টরেজ, থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নীতি বিভাগে কর্মরত ড. রোপেপং সুপানচাইমাট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার এবং সামাজিক কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলি।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ ও অর্থায়ন শীর্ষক উপ-অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠমান্ডু, নেপালের কমিউনিটি মেডিসিন অ্যান্ড ফ্যামিলি হেলথ অব ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. শারদ ওন্তা, ঘানার কমিউনিটি স্বাস্থ্য আন্দোলন কর্মী জন মাহামা।
বক্তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণে বিষয়ে আর্থিক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএএম/এএ