সেবা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে বুধবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জনগণকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়া, সেবা নিতে উদ্ধুদ্ধ করা এবং সেবা দিতে প্রতিটি কর্মীকে উৎসাহিত হওয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর প্রতিবছর সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন করে।
বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ১৭২ জন জানিয়ে সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার ২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৪৭ শতাংশ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক ডেলিভারি না বাড়ার কারণে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি।
সচিব বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১২১ এ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মে) কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা চ্যালেঞ্জিং বটে। বর্তমানে দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় ৫৩ শতাংশের বেশি প্রসব সম্পাদিত হচ্ছে, যা ২০১০ সালে ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ।
এবারও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিবারকল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন করা হবে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, সেবা সপ্তাহে প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। সেবা সপ্তাহে প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে নিয়মিত সেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনার বিশেষ ক্যাম্প এবং গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ ও ডেলিভারি সেবা দেওয়া হবে। এজন্য পর্যাপ্ত লজিস্টিক, অপারেটিং সার্জন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ