শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে পার্কিংস্থল উদ্বোধনের সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এমনই হুঁশিয়ারি বার্তা দেন।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ও গাড়ি চুরিরোধে দরপত্রের মাধ্যমে একটি কোম্পানিকে পার্কিংয়ের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তিনি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যেখানে সেখানে অ্যাম্বুলেস পার্কিং করে রাখবেন না। পার্কিং স্থানে গাড়ি রাখুন। রোগীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেবেন না। যদি জোর করে বেশি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন, তাহলে আমরা আইনের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠাবো। পরিচালক আরো বলেন, হাসপাতালেও প্রচুর যানবাহন আসে। প্রায় সময় মোটর-বাইসাইকেল ও গাড়ির পার্টস চুরি হয়ে যায়। এ যানবাহনগুলোর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে একটি কোম্পানিকে পার্কিংয়ের জায়গা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায় পার্কিং তালিকা। সেখানে উল্লেখ আছে, মোটরসাইকেল প্রথম তিন ঘণ্টা ২৫ টাকা, পরের প্রতিঘণ্টা ১০টাকা। সিএনজি প্রথম ৩ ঘণ্টা ১০ টাকা, পরের প্রতিঘণ্টা ১০টা, প্রাইভেটকার প্রথম তিন ঘণ্টা ৪০ টাকা, পরের প্রতিঘণ্টা ১০ টাকা এবং মাইক্রোবাস, জিপ ও অ্যাম্বুলেন্স প্রথম ঘণ্টা ৪৫ টাকা, পরে প্রতিঘণ্টা ১০ টাকা।
পার্কিং ব্যবস্থাকে স্বাগত জানালেও এর মূল্য তালিকা টানানো দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। অনেকেই মূল্য তালিকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুভ্র দেব নামে পুরান ঢাকার একব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, ঢামেকে রোগীকে ডাক্তার দেখাতে লাগে মাত্র ১০ টাকা, মোটরসাইকেল রাখতে লাগে ২৫ টাকা, আর গাড়ি ৪৫ টাকা, পরে আবার এই মূল্য বাড়তেও থাকবে।
তিনি আরও জানান, সরকারি জায়গায় কোথাও এতো উচ্চমূল্যে পার্কিংয়ের টাকা নেওয়া হয় বলে আমার জানা নেই। সরকারি হাসপাতালে পার্কিংয়ের জায়গা দেওয়া হয়েছে সেটাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু এতো টাকা কেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এজেডএস/এএটি