বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হেপাটোলজি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খান ছিলেন গবেষক।
গবেষণায় আরও বলা হয়, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে লিভার রোগের প্রাদুর্ভাবের বিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে লিভার সংক্রান্ত সংক্রামক ব্যাধির প্রবণতা থেকে অসংক্রামক ব্যাধির উচ্চ প্রাদুর্ভাবে বিবর্তিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে উভয় প্রকার লিভার রোগের প্রবণতার।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নগর সাময়িকভাবে হেপাটাইটিস ‘ই’ ভাইরাসের মহামারির ঝুঁকিতে রয়েছে। সেটা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ এখনও প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত নয়। আর লিভার রোগের এমন প্রবণতা মোকাবিলার জন্য দেশে একটি লিভার ইনস্টিটিউট দরকার। সঙ্গে দেশে কমপক্ষে এক হাজার লিভার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনূল আলম বলেন, আগে দেশে সংক্রামক রোগ বেশি ছিল। এখন সেটা কমে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। এর মধ্যে একটি হলো ফ্যাটি লিভার রোগ। যা দিন দিন বাড়ছে। এজন্য দেশে লিভার রোগের বিশেষজ্ঞ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মো. আবু সাইদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ৪০০ জন লিভার রোগী ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখানে লিভার ট্রান্সফারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। কিন্তু এই চিকিৎসা আমরা দেশে বসেই করাতে চাই। আর আগে এই লিভার ট্রান্সফার করাতে এক কোটি টাকা লেগে যেত। এখন ভারতে ২৫ লাখ রুপির দরকার হয়। যা আমাদের দেশে করানো সম্ভব হলে ২০ লাখ টাকা খরচ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এমএএম/এএ