রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ওই সেন্টারের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় তিনি বলেন, জরুরি বিভাগে নতুন সেবা চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও রোগীরা টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখিয়ে হাসপাতাল ভেতরে কিছুটা দুরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো। এখন সেটা করতে হবে না। জরুরি বিভাগেই এই সেবা পাবে। এমন হাসপাতাল চাই না যেখানে চিকিৎসক পাওয়া যাবে না, ওষুধ পাওয়া যাবে না। কোনো রোগীকে যেন বলতে না হয় মেশিন নষ্টের কারণে চিকিৎসা হয়নি। যে কারণে জরুরি বিভাগ খোলা হয়েছে সেটা যেন ব্যাহত না হয়। তাড়াতাড়ি রোগী চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক মৃত্যু হয়েছে। এই কারণেই এক ছাদের নিচে সব রোগের চিকিৎসা।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন বলেন, জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয়। এই রোগীর জন্য দু’জন মেডিকেল অফিসার ও চারজন ক্যাজুয়ালটি চিকিৎসকদের পক্ষে চিকিৎসা সেবাদান করা কষ্ট সাধ্য ছিল। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বিভাগের সক্ষমতা ও চিকিৎসা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূতি হচ্ছিল। এর পরিপ্রক্ষিতে জরুরি বিভাগে মুমুর্ষূ রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরিচালক বলেন, জরুরি বিভাগে ১৫ শয্যার একটি আধুনিক ও জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এখানে ৪টি আইসিইউ বেড, ৬টি এইচডিইউ বেড, ৫টি বিশেষ অবজারভেশন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটির নাম ওয়ার স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে থাকবে পাঁচটি মাইনর অস্ত্রোপচার কক্ষ, ইসিজি কক্ষ, নেবুলাইজেশন, কার্ডিয়াক মনিটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
গাইনী অ্যান্ড অবস্, শিশু রোগীদের জন্য কনসালটেশন কক্ষ, নিউরোসার্জারি ও হেড ইনজুরিসহ বিভিন্ন ধরনের সার্জিক্যাল রোগীদের জন্য জেনারেল সার্জানি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য কেমিকেল দূষণজনিত রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য একটি ডিকন্টামিনেশন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে রোগীদের জন্য দ্রুত রোগ নিরুপণের জন্য সিটি স্ক্যান মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সহ একটি মিনি প্যাথলজি ল্যাবরোটরি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে যেকোনো মুমুর্ষূ রোগীদের দ্রুত রোগ নিরুপণ করে চিকিৎসা সেবাদান করা সম্ভব হবে বলেও জানান পরিচালক নাসির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম আজাদসহ অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
এজেডএস/এএটি