এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণ বশত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের পরিবর্তিত তারিখ পরে জানানো হবে।
তবে যোগাযোগ করা হলে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিলো। তবে দেশের কোনো কোনো এলাকা থেকে খবর এসেছে-বয়াম খোলার পর ক্যাপসুলের জিলেটিন একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে গেছে। যদিও পরীক্ষা করে দেখা গেছে-এটায় কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া শিশুদের ক্যাপসুলের ভেতরের অংশ খাওয়ানো হয়। ’
তিনি বলেন, অবিলম্বে এ কর্মসূচির নতুন সময় ঘোষণা করা হবে।
সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
সরকার ঘোষিত এই কর্মসূচিতে শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিলো।
এই কর্মসূচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা।
ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএ/