সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন অধিদপ্তরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
এ সময় শতাধিক নিয়োগপ্রত্যাশী তাদের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন।
এ বিষয়ে রহিমা নামের আরেক ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে বলেন, এই চাকরিতে আমরা মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ফল আমাদের জানায়নি। এই চাকরির প্রত্যাশায় থাকতে থাকতে আমাদের সর্বমোট ২ হাজার ৭৩৩ জনের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। এরা সবাই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এখন আমরা একেবারেই নিরুপায় হয়ে পড়েছি, তাই এই আন্দোলন।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবার পর নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কাউসার সাংবাদিকদের বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অসুস্থ। পরিচালক (প্রশাসন) আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, মহাপরিচালক সাহেব সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তার মৌখিক অনুমতি নিয়েই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আজকের মতো আমাদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করছি। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন মহাপরিচালক আসার পর নিয়োগ বাস্তবায়ন না হলে আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনের করলে তারাও আমাদের পক্ষে অবস্থান নেবেন।
আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে আবু সাঈদ কাউসার আরো বলেন, যেহেতু মৌখিক পরীক্ষায় সর্বমোট ২ হাজার ৭৩৩ জন অংশ নিয়েছিলেন এবং অপেক্ষায় থেকে তাদের সরকারি চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব ভুক্তভোগীকে চাকরি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে আমরা। এ বিষয়ে আমরা একটি স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তরে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। যদিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ৯১১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিলো।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্য কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ